আজ হ্যালোউইন ডে। প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর সারা বিশ্বে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা এই দিন পূর্ব পুরুষদের স্মরণ করে উদযাপন করেন। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে স্থানীয় সংস্কৃতি অনুযায়ী বদলে যায় হ্যালোউইন পালনের রীতি। কোথায়, কী ভাবে পালন করা হয় হ্যালোউইন জেনে নিন। আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ইংল্যান্ড, এবং উত্তর ফ্রান্সে প্রাচীন কেল্টিক উত্সব হিসেবে শুরু হ্যালোউইনের।
লাতিন আমেরিকা, এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে হ্যালোইন উদযাপনের রীতি আলাদা আলাদা। স্থানীয় সংস্কৃতি অনুযায়ী বদলে যায় হ্যালোইন পালনের রীতি। আসুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক পৃথিবীর কোন প্রান্তে কী ভাবে পালিত হয় হ্যালোইন বা ‘অল সোলস ডে’।
লাতিন আমেরিকা: লাতিন আমেরিকায় ‘অল সোলস ডে’ পালিত হয় ‘ডে অফ দ্য ডেড’ নামে। মেক্সিকো ও স্পেনে নভেম্বর মাসের প্রথম দু’দিন পালিত হয় মৃতদের দিন। এই দু দিন মৃতদের সমাধিক্ষেত্রে শ্রদ্ধা জানানোর পরই সকলে মেতে ওঠেন উত্সবে। উত্সবের এই রীতি প্রায় হাজার বছরের প্রচীন।
জাপান: জাপানে এই উত্সব ‘ফেস্টিভ্যাল অফ হাঙ্গরি গোস্টস’। তবে জাপানে ভূতেদের উত্সব অক্টোবর-নভেম্বরে নয়, চলে গোটা গরমকাল জুড়েই। এই সময় সারা রাত আগুন জ্বালিয়ে রাখেন জাপানিরা। এই সময় সারি সারি লাল কাগজ বা কাচের তৈরি লন্ঠনে সেজে ওঠে রাস্তার দু পাশ।
জার্মানি: জার্মানরা বিশ্বাস করেন হ্যালোউইনের রাতে মৃত অতৃপ্ত আত্মারা নেমে পৃথিবীতে। তাই এই রাতে ছুরি, কাঁচি সব লুকিয়ে ফেলেন তাঁরা। বার্লিনের হ্যালোইন কস্টিউম পার্টির খ্যাতি পৃথিবী জোড়া।
অস্ট্রিয়া: ৩০ অক্টোবর থেকে ৮ নভেম্বর টানা এক সপ্তাহ ‘অল সোলস উইক’ পালন করা হয় অস্ট্রিয়ায়। এই এক সপ্তাহ পূর্বপুরুষদের মৃত আত্মার উদ্দেশ্যে ঘরের টেবিলের ওপর খাবার, জল রেখে ল্যাম্প জ্বেলে ঘুমোতে যান অস্ট্রিয়রা। এর পর ১ নভেম্বর সন্ধে বেলায় পালিত হয় অল সেন্টস ডে। এ দিন পরিবারের প্রিয়জনদের সমাধিক্ষেত্রে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
চেক রিপাবলিক: চেক রিপাবলিকের হ্যালোউইন উদযাপন কিন্তু অন্য দেশের থেকে একেবারেই আলাদা। বাড়ির ফায়ারপ্লেসের পাশে এ দিন রাতে পরিবারের প্রত্যেক মৃত সদস্যের জন্য চেয়ার সাজিয়ে রেখে ঘুমোতে যান সকলে। তাঁদের বিশ্বাস, হ্যালোইনের রাতে মৃত সদস্যদের আত্মারা নেমে এসে পরিবারের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটিয়ে যান।
চিন: চিনা বছরের শেষে পালিত হয় ‘তেঙ্গ চেইহ’, যার অর্থ হল লন্ঠন উত্সব। বিভিন্ন পশুপাখির আকারে তৈরি লাল, হলুদ, সবুজ কাগজ বা কাচ দিয়ে তৈরি করা হয় সেই লন্ঠনগুলো। এই ‘তেঙ্গ চেইহ’ উত্সবের সময় জাপানের মতোই লন্ঠন জ্বালিয়ে অশুভ শক্তি দূর করে চিনারা।
বঙ্গদর্পণ 